দখিনের খবর ডেস্ক ॥ স্ত্রী নির্যাতনের হারে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনও না কখনও সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৯ মার্চ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৬১টি দেশ ও অঞ্চলে নারী নির্যাতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ কিরিবাতিতে স্বামী অথবা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দরিদ্র এ দেশটিতে ৫৩ শতাংশ নারীই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। এরপর রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরও দুটি দ্বীপদেশ ফিজি (৫২ শতাংশ) ও পাপুয়া নিউগিনি (৫১ শতাংশ)। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হন। হারটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ক্ষেত্রেও একই। নারী নির্যাতন সবচেয়ে বেশি যেসব দেশে, তার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ আফগানিস্তান রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নির্যাতন সবচেয়ে কম (১০ থেকে ১৪ শতাংশ) ঘটেছে ১২টি দেশ ও দুটি অঞ্চলে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপের ছয়টি দেশ, পশ্চিম এশিয়ার তিনটি দেশ এবং কিউবা (১৪ শতাংশ), ফিলিপাইন (১৪ শতাংশ) ও সিঙ্গাপুর (১১ শতাংশ)। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় নারী নির্যাতনের যে চিত্র উঠে এসেছিল, তার চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়নি। ঘনিষ্ঠ নয়, এমন ব্যক্তিদের হাতেও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন নারী। অল্প বয়স থেকেই তাঁদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
Leave a Reply